ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মঙ্গলবার দেখা যায় ঘুড়ি ওড়ানোর দৃশ্য। ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার (ডুসাড) আয়োজনে পৌষসংক্রান্তিতে এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়। ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও নাগরদোলা, শীতকালীন পিঠাপুলির আয়োজনসহ গ্রামীণ চিরায়ত বাংলার নানা আয়োজন দেখা যায়।
উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদেরসহ অনেকে।
ঘুড়ি উৎসব নিয়ে এমন আয়োজনে প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘যুগের পরিক্রমায় এসব উৎসব আমরা হারিয়ে ফেলছি। সে রকম সময়ে শিক্ষার্থীদের এ ধরনের উদ্যোগ আমাদের আশাবাদী করে তোলে। হয়তো এমন উদ্যোগই আমাদের হারিয়ে ফেলা চিরায়ত ঐতিহ্যগুলো টিকিয়ে রাখবে।’
বিএনপির পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বলেন, ‘ঢাকার পুরোনো সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের এমন প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় তরুণ প্রজন্মের এমন প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ দেশের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পুনরুত্থানে শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগে আমরা পাশে আছি।’
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। অন্যের সংস্কৃতির চর্চা না করে বাঙালির নিজের যে সংস্কৃতি, তা চর্চায় মনোনিবেশ জরুরি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের বলেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদ রুখে দিতে হবে। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রুখে দিয়ে বাংলার নিজের সংস্কৃতিকে ধারণ করতে হবে।’
উৎসবের আয়োজন প্রসঙ্গে সংগঠনটির সভাপতি রাহাতউল্লাহ তৌসিফ বলেন, ‘ডুসাডের পক্ষ থেকে দ্বিতীয়বার আমাদের এই আয়োজন। ঢাকার যান্ত্রিক জীবনে এই উৎসব প্রত্যেককে উৎফুল্ল করে তুলবে বলে আমরা আশাবাদী ’
ডুসাডের শিক্ষা উপদেষ্টা, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রক্ষায় শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন প্রশংসনীয়।